Lean More Bd 24 আপাদেরকে যে বিষয়ে তথ্য দিয়ে হেল্প করবে তা হলো, টেকনোলজি, হেলথ টিপস, ধর্ম, ইন্সুরেন্স ও লোন । সুতরাং Lean More Bd 24 এর সাথে থাকুন।

শিরোনাম :

সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩

কৈ মাছের বৈজ্ঞানিক নাম ও চাষ পদ্ধতি

প্রিয় ভিজিটর! আজ আমি কৈ মাছের বৈজ্ঞানিক নাম ও চাষ পদ্ধতি নিয় বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন কৈ মাছের বৈজ্ঞানিক নাম জেনে নেই।

কৈ মাছের বৈজ্ঞানিক নাম

বৈজ্ঞানিক নাম Anabas cobojius। মাছটিকে ইংরেজিতে Gangetic koi বলে। এটি Anabantidae পরিবারের অন্তর্গত। এটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় মাছ।

আমার কাছ অনেকেই জানত চেয়েছেন কৈ মাছ কোথায় চাষ করা হয়? কৈ মাছ আমাদের দেশের একটি অতি পরিচিত মাছ। কৈ মাছ সাধারণত প্রাকৃতিক জলাশয় যেমন – ডোবা, নালা, খাল –বিল নদী ইত্যাদি যেখানে অল্প গভীরতার পানি দেখা যায় সেখানে চাষ করা যায়। ভিয়েতনামী কৈ মাছ সর্বপ্রথম ভিয়েতনাম থেকে ২০১১ সালে বাংলাদেশে আনা হয় এবং মাছ চাষ শুরু করা হয়।

কৈ মাছ চাষ পদ্ধতি

পুকুর প্রস্তুতি কৈ মাছ চাষের জন্য ৪-৫ মাস পানি থাকে এ রকম ১৫-৫০ শতাংশের পুকুর নির্বাচন করতে হবে। পুকুর শুকিয়ে অবাঞ্চিত মাছ ও জলজ প্রাণি দূর করতে হবে। পোনা মজুদের পূর্বে প্রতি শতাংশে ১.০ কেজি হারে কলি চুন প্রয়োগ আবশ্যক। চুন প্রয়োগের ৫ দিন পরে পোনা মজুদের ব্যবস্থা নিতে হবে।


কৈ মাছের বৈজ্ঞানিক নাম ও চাষ পদ্ধতি


পোনা মজুদ ও ব্যবস্থাপনা

প্রস্তুতকৃত পুকুরে প্রতি শতাংশে ১ গ্রাম ওজনের সুস্থ-সবল ৩০০-৩৫০টি পোনা মজুদ করতে হবে। পোনা মজুদের দিন থেকে ৩০% প্রোটিন সমৃদ্ধ সম্পূরক পিলেট খাদ্য মাছের দেহ ওজনের ১৫-৪% হারে সকাল ও বিকালে পুকুরে ছিটিয়ে সরবরাহ করতে হবে। প্রতি ১৫ দিন পর পর জাল টেনে মাছের বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করে খাবারের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।


কৈ মাছের পুকুরে প্রচুর প্লাংটনের আধিক্য পরিলক্ষিত হয়ে থাকে, এই প্লাংটন নিয়ন্ত্রনের জন্য প্রতি শতাংশে ৮-১০ টি মনোসেক্স তেলাপিয়া ও ২-৩ টি সিলভার কার্পের পোনা মজুদ করা যেতে পারে। মাছ আহরণ ও উৎপাদনআধা নিবিড় পদ্ধতিতে কৈ মাছ চাষ করলে ৪-৫ মাসের মধ্যে ৬০-৭০ গ্রাম ওজনের হয়ে থাকে।

এ সময় জাল টেনে এবং পুকুরের সমস্ত পানি শুকিয়ে মাছ ধরার ব্যবস্থা নিতে হবে। এ পদ্ধতিতে ৫-৬ মাসে হেক্টর প্রতি ৪,৫০০-৫,০০০ কেজি কৈ, ৫০০ কেজি গিফট তেলাপিয়া ও ২৫০-৩০০ কেজি সিলভার কার্প মাছ উৎপাদন করা সম্ভব। আয়-ব্যয়এক হেক্টর জলাশয়ে ৫-৬ মাসে ২.০-২.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ২.৫-৩.০ লক্ষ টাকা মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।


অপেক্ষাকৃত ভাল উৎপাদন পাওয়ার লক্ষ্যে নিম্মবর্নিত বিষয় সমুহের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবেঃ কৈ মাছ চাষে পানির গুণাগুণ মাছ চাষের উপযোগী রাখার জন্য পিএইচ ৭.৫-৮.৫ ও অ্যামোনিয়া ০-০.০২ মিলি/লি. মাত্রায় রাখা আবশ্যক। এ জন্য প্রতি ১৫ দিন পর পর চুন ২৫০-৩০০ গ্র্রাম/শতাংশ পুকুরে প্রয়োগ করতে হবে। তাছাড়া লবন ২০০-৩০০ গ্র্রাম/শতাংশ হারে প্রতি মাসে পুকুরে ব্যবহার করতে হবে। পুকুরে পানির গুণাগুণ উপযোগী রাখার জন্য প্রয়োজনে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে।

ভাল হ্যাচারি হতে পোনা সংগ্র্রহ করতে হবে এবং কোনভাবেই ক্রস ব্রেড পোনা ব্যবহার করা যাবে না। আগাম উৎপাদিত পোনা অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসে উৎপাদিত কৈ পোনা চাষে ব্যবহার করা যাবে না ।নমুনায়ন করে মাছের সঠিক গড় ওজন নির্ধারণপূর্বক খাদ্য প্রয়োগ এবং সপ্তাহে ১ দিন খাদ্য প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে।


কৈ মাছ চাষে জৈব-নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা হিসাবে পুকুরের চারিদিকে এবং উপরে ছোট ফাঁসের জাল ব্যবহার করতে হবে, ফলে রোগ-জীবাণু সহজে এক পুকুর হতে অন্য পুকুরে সংক্রামিত হবে না। কৈ চাষের পুকুরে গরু, ছাগলের গোসল/ধৌত করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

পুকুর প্রস্তুতির পূর্বে বি¬চিং পাউডার ১০০ গ্র্রাম/শতাংশ হারে পুকুরে প্রয়োগ করলে ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস হবে। চাষ কার্যক্রম শুরুর পূর্বে পুকুরের তলার জৈব মাটি ৪”-৬” উঠিয়ে ফেলতে হবে।
একই পুকুরে বার বার একই মাছ চাষ না কওে ফসল বহুমুখীকরণ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে হবে। কৈ মাছ চাষে উত্তম মৎস্যচাষ অনুশীলন (Good Aquaculture Practice) অনুসরণ করতে হবে এবং প্রযুক্তি নির্ভর মাছ চাষ করতে হবে।


কই মাছের খাদ্য তালিকা

কৈ মাছের বৈজ্ঞানিক নাম ও চাষ পদ্ধতি

কই মাছের পুষ্টিগুণ




কই মাছ দরার জাদুকরি টোপ তৈরি

প্রথমে আপনাকে একটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বাটি নিতে হবে। তারপর সে বাটির মধ্যে একমুঠো ময়দা এবং তিনটি মিল্ক বিস্কুট রাখতে হবে। তারপর মিল্ক বিস্কুট গুলো ভালোভাবে গুড়ো করে নিতে হবে চাইলে আপনারা ব্লেন্ডার মেশিনে বিস্কুট গুলো ভালো হবে গুঁড়ো করে নিতে পারেন। তারপর সে বিস্কুটের গুড়ের সাথে ময়দা আলতোভাবে অনেকক্ষণ মিশাতে হবে যাতে ময়দা এবং বিস্কুটের গুঁড়ো মিশিয়ে একাকার হয়ে যায়।


তারপর ময়দা আর বিস্কুটের গুঁড়ো মিশে গেলে সেখানে অল্প পরিমাণে পানি দিয়ে দুটি মিশ্রণ হাত দিয়ে মিশ্রিত করতে থাকেন।একবারে পানি ঢেলে দিবেন না কারন পানির মাত্রা বেশি হয়ে গেলে টোপ নরম হয়ে যাবে এবং পুনরায় আপনাকে আটা এবং বিস্কুটের গুঁড়ো মিশাতে হবে ফলে টোপটা গুণগতমান তেমন ভালো থাকবে না। তারপর আস্তে আস্তে পানি দিয়ে টোপ বানানো শেষ হলে তার সাথে অল্প পরিমাণ পিপড়ার ডিম মিশিয়ে ভালোভাবে বাটির মধ্যে ডলতে থাকেন। তারপর আবার অল্প পরিমাণ ডিম কিংবা পিপড়ার ডিম মিশিয়ে ভালো হবে মিশ্রিত করে তা বল আকারে বাটিতে রেখে দিন।
তারপর আপনার যে টোপ তৈরি হবে সেটির দিয়ে যেকোনো জায়গায় কই মারার জন্য উপযুক্ত একটি টোপ তৈরি হবে। এভাবে কই মারার জাদুকরী টপ আপনারা তৈরি করতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Pages