ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো একটি ডিজিটাল অ্যাসেট বা মুদ্রায় একধরনের বাদ্ধ্য পাঠক্রম বা রহস্যময় পদ্ধতি ব্যবহার করে তৈরি হওয়া মুদ্রা যা প্রায় সম্পূর্ণরূপে অনলাইনে অর্থ পরিবহন ও লেনদেন করতে ব্যবহার করা হয়। ক্রিপ্টোকারেন্সি ডিজিটাল সংস্করণের মাধ্যমে প্রদত্ত হয় এবং এটি ক্রিপ্টোগ্রাফি দ্বারা নিরাপদ করা হয়, যা ব্লকচেইন নামক একটি তথ্য সংরক্ষণাগার ব্যবহার করে। এটি সাধারণত দেশীয় মুদ্রার মতো কাজ করে, তবে এটি সরাসরি ব্যক্তি বা সংস্থার উপর নির্ভর করে না। ক্রিপ্টোকারেন্সি সিস্টেমটি সাধারণত ডিসট্রিবিউটেড লেজার বা ব্লকচেইন ব্যবহার করে, যা ডিজিটাল লেজারে সম্পূর্ণ লেনদেন সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার জন্য একটি পাবলিক ডাটাবেস হিসাবে কাজ করে। সকল লেনদেন একটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক স্বাক্ষর দ্বারা সংরক্ষিত হয় এবং নেটওয়ার্কের প্রায় সকল অংশগুলি লেনদেনের জন্য অঙ্কনযোগ্য। ক্রিপ্টোকারেন্সির উদাহরণ হলো বিটকয়েন, এথেরিয়াম, লাইটকয়েন, রিপল ইত্যাদি।
ক্রিপ্টোকারেন্সি স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ
বিটকয়েন হলো প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং স্বীকৃতি প্রদানের জন্য স্বাধীন দেশ যথাযথ ভাবে ভৌগোলিক সীমানা নির্ধারণ করা যায় না। তবে, বিশ্বের বেশ কিছু দেশ বিভিন্ন সময়েই ক্রিপ্টোকারেন্সি স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
বিশ্বে ক্রিপ্টোকারেন্সি স্বীকৃতি প্রদানের প্রথম দেশ হিসাবে জাপানকে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০৮ সালে নাকামোটো সাতোশি নামক একজন ব্যক্তি একটি প্রকাশনায় একটি বিটকয়েন সফটওয়্যার প্রস্তুত করেন। এটি একেবারেই একটি নতুন প্রণয়ন পায় না। পরবর্তীতে ২০১০ সালে জাপানের সরকার বিটকয়েনকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্বীকৃতি দেয়।
এছাড়াও সাথেও সূত্রের প্রকাশনায় দেখা যায় যে, কয়েনবেস নামক জাপানি কোম্পানি সংস্কার ও বিক্রয়ে বিটকয়েন সম্প্রসারণে আগ্রহী হয়। এতে বিটকয়েন স্বীকৃতি প্রাপ্ত করতে পারেন। এছাড়াও জাপানে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার এখন অন্যান্য বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সির জন্য প্রচলিত।
বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতেও ক্রিপ্টোকারেন্সি স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে, যেমন মাল্টা, সৌদি আরব, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, বার্বাডোস, কেনেডি, পুয়ের্তো রিকো, বেলিজ, পোল্যান্ড, উক্রেইন, ইস্টোনিয়া, আর্জেন্টিনা, ভেনেজুয়েলা, সাউথ কোরিয়া ইত্যাদি।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকার
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। নিচে কিছু প্রধান ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রকার উল্লেখ করা হলো:
- বিটকয়েন (Bitcoin): এটি প্রথম এবং সবচেয়ে পরিচিত ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসাবে পরিচিত। এটি স্বচ্ছতায় সাধারণত ব্যবহৃত হয় এবং সর্বাধিক মানসম্পন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসাবে পরিচিত।
- এথেরিয়াম (Ethereum): এটি একটি ব্লকচেইন প্ল্যাটফর্ম এবং এর প্রধান ক্রিপ্টোকারেন্সি টোকেন হচ্ছে "এথার"। এথেরিয়াম প্রোগ্রামাটিক স্মার্ট কন্ট্রাক্ট পরিচালনা করার জন্য পরিচিত।
- রিপল (Ripple): রিপল একটি ডিজিটাল পেমেন্ট প্রোটোকল এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি। এর টোকেন হচ্ছে "এক্সআরপি"। রিপল পেমেন্ট প্রয়োগের জন্য ব্যবহৃত হয় যা ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউস এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রয়োগ করা হয়।
- লাইটকয়েন (Litecoin): লাইটকয়েন একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসাবে পরিচিত এবং বিটকয়েনের প্রতিলিপি বলে মনে হয়। লাইটকয়েন একটি পর্যায়ক্রমে দ্রুত লেনদেন প্রকাশ করে এবং এর মূল্যায়ন এবং লেনদেন সম্পর্কে বিটকয়েনের তুলনায় শুল্ক কম।
- কার্ডানো (Cardano): কার্ডানো একটি ব্লকচেইন প্ল্যাটফর্ম এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসাবে পরিচিত। এটি কোয়ালিটি এবং প্রযুক্তিগত সাধারণতা উভয়ে কেন্দ্র করে এবং স্মার্ট কন্ট্রাক্ট এবং ডিসট্রিবিউটেড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের জন্য ব্যবহার করা হয়।
ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয়
ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার সম্ভাবনার মধ্যে একটি উপায় হলো ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং করা। ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং হলো ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে অংশ নেওয়ার পদ্ধতি, যাতে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি নেটওয়ার্কের কনফার্মেশন প্রমাণ করেন এবং নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সি টোকেন জনরেট করেন।
কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি যেমন বিটকয়েন, এথেরিয়াম, লাইটকয়েন ইত্যাদি এই মাইনিং পদ্ধতি ব্যবহার করে চালানো হয়। এই পদ্ধতিতে আপনি যদি নেটওয়ার্কের পর্যায়ে প্রমাণিত হন, তবে আপনি মাইনার হিসেবে বিবেচিত হয়ে উপকার করতে পারেন ক্রিপ্টোকারেন্সি টোকেন অর্জনে। এই মাধ্যমে আপনি নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সি টোকেন পেতে পারেন যা মার্কেটে বিক্রি করতে পারেন এবং সাবধানে নিজের পক্ষে প্রয়োজন হলে পরিবর্তন হতে পারেন।
আরও একটি উপায় হলো ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং বা বিনিয়োগ করা। এটি মাধ্যমে আপনি আর্থিক লাভ অর্জন করতে পারেন যদি আপনি সঠিক সময়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা-বিক্রি করতে পারেন এবং মার্কেটের প্রবণতা সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করতে পারেন। ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং করার জন্য আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন, যেমনঃ Binance, Coinbase, Kraken, ইত্যাদি। আরোও পড়ুন: এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো?
এই প্ল্যাটফর্মগুলি আপনাকে বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা, বিক্রি, এক্সচেঞ্জ করা এবং মার্কেট প্রবণতা মনিটর করার সুবিধা দেয়। তবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং এ আপনার সাবধানতা বাড়িয়ে রাখতে হবে, কারণ এটি সাধারণত ভুল নিরুপণ করলে আপনি ট্রেড লস করতে পারেন। প্রথমে নিজের জন্য একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং পরিকল্পনা তৈরি করুন এবং প্রফেশনাল ট্রেডারদের উপদেশ নিন যদি প্রয়োজন হয়।
আপনি একাধিক উপায়ে আয় করার জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করতে পারেন, তবে এটি আর্থিক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে এবং আপনার জ্ঞান ও বিনয়ের প্রয়োজন হতে পারে। ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে সাবধানে কাজ করুন এবং সম্পূর্ণ বৈধ ও নিরাপদ উপায়ে আয় করার জন্য প্রয়াস করুন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি আইন বাংলাদেশ
বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত আইন বর্তমানে কয়েকটি বিষয়ে নিয়ে বলা হয়েছে। প্রথমত, বাংলাদেশ সরকার দ্বারা সংশোধিত "মূল্য সংরক্ষণ আইন, ২০১২" এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত বর্ধিত সংরক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংশোধিত আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে কোনও ধরণের ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার, বিতরণ, বিক্রয় বা ক্রয় করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আরও দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ ব্যাংক (সেন্ট্রাল ব্যাংক) নিজেই বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সংক্ষেপে জানানোর জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করেছে যাতে সকল প্রকার ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এছাড়াও, সরকার বিভিন্ন সময়ে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন বিধান চালু করেছে, যার মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারে আদেশ জারি করা, সংগঠিত কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন প্রদান করা ইত্যাদি রয়েছে।
বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ বিষয়ে এই নীতিমালা সম্পর্কে বিভিন্ন অভিযান, জরিপ, একই সাথে দেশের বিভিন্ন সংবিধানের উপর ভিত্তি করে আলোচনা করা হয়েছে। তবে, বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত কোনও সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রকাশ করা হয়নি। তাই এই বিষয়ে কোনও বিচারপতি সরকারের সঙ্গে বিচার বিভাগের মাধ্যমে আদালতে জানানো উচিত।
উপরে উল্লিখিত তথ্যগুলি বাংলাদেশের সংবিধান, আইন, বিধিমালা ইত্যাদির ভিত্তিতে প্রদান করা হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য জানার জন্য আপনারা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলির ওয়েবসাইট বা নিকটস্থ সম্পর্কযোগ্য সরকারী কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বই
ক্রিপ্টোকারেন্সি বই অনেক রয়েছে, যা আপনাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান আরোপ্য করতে সাহায্য করতে পারে। নিচে কিছু বই সাজানো হলো:
- "মাস্টারিং বিটকয়েন" লেখক: এন্ড্রিয়ান আনটোনোপুলোস: এটি বিটকয়েন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির বিস্তারিত পরিচিতি দেয়। এই বইটি সাধারণ পাঠকদের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে, যারা ব্লকচেইন প্রযুক্তি এবং ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার বিষয়ে অধিক জানতে ইচ্ছুক।
- "মাস্টারিং ইথেরিয়াম" লেখক: এন্ড্রু কুয়িন্ন: এই বইটি ইথেরিয়াম ব্লকচেইন প্রযুক্তি এবং স্মার্ট কন্ট্রাক্টগুলি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়। এটি ক্রিপ্টোকারেন্সি ডেভেলপারদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে, যারা ইথেরিয়াম ব্লকচেইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে চান।
- "বিটকয়েন একাদশ" লেখক: এন্ড্রু চেয়ান: এটি বিটকয়েন এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তির মৌলিক সিদ্ধান্ত এবং ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করে। এটি ক্রিপ্টোকারেন্সি নভিসদের জন্য অত্যন্ত প্রাথমিক হতে পারে, যাদের কাছে ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি এর কনসেপ্টগুলি এখনও নতুন।
- "ক্রিপ্টো অ্যাসেট সংরক্ষণ" লেখক: জজ আহামেদ: এই বইটি সংরক্ষণ এবং সুরক্ষা সম্পর্কিত ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে আলোচনা করে। এটি ক্রিপ্টো ইনভেস্টরদের জন্য উপকারী হতে পারে, যারা তাদের ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পদ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে ও নিরাপত্তা সম্পর্কে চিন্তিত আছে।
এটা কেবলমাত্র কয়েন এবং ব্লকচেইন সম্পর্কিত কিছু বইর একটি সূচি, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং ব্লকচেইন সম্পর্কিত অন্যান্য বইগুলি আরও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে পারে। আপনি পছন্দ মতো এই বইগুলি পড়তে পারেন এবং আপনার আগ্রহের অনুযায়ী বইটি নির্বাচন করতে পারেন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয় বিক্রয়
ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয়-বিক্রয় একটি ডিজিটাল আসল বা সাইবার মুদ্রার ক্রয় বিক্রয়ের পদ্ধতি বোধ করা হয়। এটি ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে একটি সুরক্ষিত ও ট্রান্সপ্যারেন্ট প্রক্রিয়া যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। এটি সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল হওয়ার কারণে এর মাধ্যমে গ্রাহকরা বাস্তব মুদ্রা বা আসল সম্পদ ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন বা এর সাথে বিনিময় করতে পারেন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য একাধিক প্ল্যাটফর্ম ও সংগঠন উপলব্ধ আছে, যেমন ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ, ব্রোকারেজ প্ল্যাটফর্ম, অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইত্যাদি। এই প্ল্যাটফর্মগুলি গ্রাহকদের সঠিক দরে ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয় করতে এবং সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে। ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মে আপনি বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি বাদলে ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন অথবা আপনি অনলাইন ব্রোকারের সাথে মুদ্রা বা অন্যান্য বিনিময় পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয় করতে পারেন।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য আপনার প্রথমে একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এরপরে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে মুদ্রা জমা করে অথবা ইথারিয়াম বা বিটকয়েন মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি জমা করে একটি বুক অর্ডার দিতে পারেন। আপনি আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয় করার জন্য আপনার পছন্দমত ক্রিপ্টোকারেন্সি নির্বাচন করতে পারেন এবং তা আপনার অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হবে। এরপরে আপনি আপনার পছন্দমত মুদ্রা বা অন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি বিক্রয় করতে পারেন এবং তা আপনার অ্যাকাউন্ট বা ইথারিয়াম বা বিটকয়েন এক্সচেঞ্জ এ স্থানান্তরিত হবে। বিক্রয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আপনি আপনার মুদ্রা পেয়ে যাবেন যা আপনি একটি ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করতে পারেন বা আপনি তা আপনার অ্যাকাউন্টে রাখতে পারেন যেখানে আপনি আপনার বিনিয়োগ বা স্থানান্তর করতে পারেন।
কয়েকটি পরিচিত ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ ও ব্রোকারেজ প্ল্যাটফর্ম হলো: Coinbase, Binance, Kraken, Bitstamp, eToro, Robinhood ইত্যাদি। এগুলি সম্পূর্ণরূপে নির্ভরযোগ্য ও ব্যবহারকারীর মতামতে খুবই জনপ্রিয়। আপনি এই প্ল্যাটফর্মগুলি চেক করে দেখতে পারেন এবং আপনার পছন্দ মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয় ও বিক্রয় করতে পারেন।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিময়ে আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। একটি নিরাপত্তা বিশ্লেষক ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটের স্থিতি ও এক্সচেঞ্জ এর নিরাপত্তা প্রকাশ করে। আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সঠিক নিরাপত্তা মেয়াদ ও সুরক্ষার সাথে ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্মে অভিজ্ঞ হয়ে থাকা উচিত। প্রয়োজনে, আপনি একজন আরও বিশেষজ্ঞকে পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন যারা আপনাকে উপযুক্ত মার্কেট জ্ঞান এবং নিরাপত্তা সরঞ্জাম প্রদান করতে সাহায্য করবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন